বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তায় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ টাকা। বেড়েছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
গেল সপ্তায় মোট ৩ কার্যদিবেসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫৯০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ৮১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩১টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২০টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৬৯ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক ৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২০৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে।
এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। যা ঈদের আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট ছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই স্টকে মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৭৬৭ কোটি টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সূচকও।
সিএসইর সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫১ কোটি ৯১ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৭৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৬৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫২টির, দর কমেছে ৫৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৮টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন বেশি হয়েছে।
সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৮১ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১৯ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ৪২ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৭৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৬৯ দশমিক ৮১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭১০ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।