নভেম্বর ২৩, ২০২৪

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। গেল সপ্তায় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের প্রায় ২৫ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৩১ কোটি ৫ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫২৯ কোটি ৪ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬২৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তায় লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯০টির, দর কমেছে ২৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১২টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৩৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯১ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৫ দশমিক ২৬ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট ছিল।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে বাজার মূলধন পরিমান। তবে কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন বেশি। লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৩গুন।

সিএসইর সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সোমবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪৬৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬৯ কোটি ২৯ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১৮৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৯টির, দর কমেছে ৯১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪১টি কোম্পানির।

সিএসইর সূত্র মতে, গেল সপ্তায় সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৭২০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই ৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য শূন্য ১ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ১০ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৯৮ দশমিক ২২ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৮৭ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৭৭ দশমিক ৫২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...