বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমেছে শেয়ারবাজারে মূলধন পরিমাণ। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন ৩গুন।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা।
গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৩টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৮০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৮২ দশমিক ৫০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট ছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৫টির, দর কমেছে ১২৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি কোম্পানির।
সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৬০ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই ৫০ সূচক দশমিক ৩৬ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, সিএসআই সূচক ১ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৭০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১০২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭১১ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।