পুনঃতফসিলি বা এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় না হলে আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে আদায় ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালের আরোপিত সুদ আয়খাতে দেখানো যাবে। একই সঙ্গে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন (ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার ( ২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ঋণ শ্রেণিকরণ বিষয়ে জারি করা সার্কুলারের সুবিধাপ্রাপ্ত আরোপিত সুদ আয়খাতে স্থানান্তরকরণ এবং উক্ত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ প্রসঙ্গে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধার প্রাপ্ত ঋণের সম্ভাব্য আদায় ঝুঁকি বিশ্লেষণ পূর্বক ২০২২ সালের আরোপিত সুদ বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। তবে পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় ছাড়া আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সিএমএসএমই খাতের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে।
সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো ঋণ নগদ আদায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে পরিশোধিত হলে সংরক্ষিত অতিরিক্ত জেনারেল প্রভিশন ব্যাংকের নিজস্ব বিবেচনায় আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। ঋণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (ঋণগ্রহীতার নাম, ঋণ স্থিতি, ধার্যকৃত সুদ, আয়খাত ও ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে স্থানান্তরিত সুদ, অতিরিক্ত প্রভিশনের পরিমাণ ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে সংরক্ষণ করতে হবে। ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো একই নীতিমালা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।