ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

পটুয়াখালী পৌর শহরে সুপেয় পানি সংকটে ভুগছে অন্তত ১৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৮৫ হাজার সদস্য। রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা চার দিন পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

পানি সংকটের কারণে দৈনন্দিন কাজ নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহিণীরা। কবেনাগাদ এ দুর্ভোগ নিরসন হবে তা নিয়েও রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।

পানি সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছে দুর্ভোগের শিকার পরিবারগুলো। যদিও পটুয়াখালী পৌরসভা বলছে- পানি সংকট সমাধানে পৌরসভা তৎপর রয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে গরমের তীব্রতা বাড়লে পটুয়াখালী পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সংকট দেখা দেয়। চাহিদার তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ অথবা দুই-তৃতীয়াংশ পানি পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয় পৌর শহরের ১৪ হাজার পরিবারের অন্তত ৮৫ হাজার মানুষকে। এরপর গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাত থেকে পৌরসভার পানির লাইন থেকে পানি সরবরাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাত থেকে ২৯ মে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পৌরসভার পানি লাইন থেকে কোনো পানি পাওয়া যায়নি। নানা মাধ্যমে পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পানি সংকট নিরসনে ব্যর্থ হন তারা।

দুর্ভোগের শিকার মানুষ গুলো স্থানীয় নদ-নদী এবং জলাশয় থেকে গোসল এবং ধৌতের প্রয়োজনীয়তা মেটালেও খাবার পানি সংকট রয়ে যায়। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মাত্রা অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ায় নদ-নদী এবং জলাশয়ের পানি এখন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

পটুয়াখালী পৌরসভা পানি শাখার আওতায় ৯৩২০ গ্রাহক এবং ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার।

পটুয়াখালী পৌরসভার পানি শাখার সহকারী প্রকৌশলী একেএম রিয়াজ উদ্দিন মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া পানি মজুদ ওঠানো সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকালের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হবে। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় চাহিদামতো পানি মজুদ সম্ভব হচ্ছে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...