বিজ ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইল শ্রীলঙ্কা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানরা ৭৯ রানের বড় জয় পেয়েছে।
শ্রীলঙ্কার করা ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলিং তোপে ৭৩ রানে থেমে যায় আমিরাতের ইনিংসের চাকা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও বেশিক্ষণ মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি আরব আমিরাত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শুরু হওয়া বিপর্যয়ে তাসের ঘরের মত ধসে পড়ে আমিরাতের ব্যাটিং লাইন আপ।
দুশমন্থ চামিরা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বোলিং তোপের সামনে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি আমিরাতের ব্যাটারদের। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৭৩ রান তুলতেই থামে মরুর দেশের ব্যাটারদের ইনিংসের চাকা।
হাসারাঙ্গা ৮ রানে ৩টি আর চামিরা ১৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।
আর সেই সুবাদে ৭৯ রানের বড় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। টিকে থাকে সুপার টুয়েলভের দৌড়ে।
এর আগে ভিক্টোরিয়ার সাউথ জিলংয়ে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আমিরাতের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন লঙ্কান ব্যাটাররা। মারকুটে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তারা।
এক পাথুম নিশাঙ্কার তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েন আমিরাতের বোলাররা। লঙ্কানদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৭৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে বদলে যায় দৃশ্যপট। মেইয়াপ্পনের সে ওভারের প্রথম তিন বলে তিন রান নিলেও চতুর্থ বলটিকে ডিপ কভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাশিফ দাউদের হাতে ধরা দেন ভানুকা রাজাপাকসে।
তার পরের বল ছিল গুগলি। যাতে ধরাশায়ী হন চারিথ আশালাঙ্কা। ওভারের শেষ বলটিতে মেইয়াপ্পন স্টাম্প উড়িয়ে দেন লঙ্কান দলপতি দাসুন শানাকার।
আর তাতে তৈরি হয় ইতিহাস। বিশ্বকাপের চলতি আসরের প্রথম বোলার ও বিশ্ব আসরে আমিরাতের প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড করেন তিনি।
তার সে ওভারে ধস নামে শ্রীলঙ্কার শিবিরে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের খরচায় আমিরাতের সামনে ১৫২ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।