সুদানের পূর্ব দারফুরের আঞ্চলিক গভর্নর খামিস আববকরকে হত্যা করেছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)।
দুজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার (১৪ জুন) দারফুরের জেনেইনাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পূর্ব দারফুরের নিহত গভর্নর খামিস আববকর লড়াইয়ের শুরু থেকেই আরএসএফের সমালোচনা করে আসছিলেন। তিনি এই বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগও তুলেছিলেন। প্রকাশ্যে সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজ্যের গভর্নর হয়েও প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
সুদানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পূর্ব দারফুরের গভর্নরকে প্রথমে তুলে নিয়ে যায় আরএসএফ। এরপর তাকে হত্যা করা হয়।
সেনাবাহিনী ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সুদানের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে জঘন্য অপরাধ আরএসএসফ সংঘটিত করছে, গভর্নর আববকরকে হত্যার বিষয়টি তাদের নৃশংসতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে।’
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সুদানে বেসামরিক সরকারের পতন ঘটনো হয়। এরপর দেশ শাসন করছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক সহযোগী ও আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলুর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয়। এ নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে গত ১৫ এপ্রিল রাজধানী খারতুমে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে হামলা করে বসে আরএসএফ।
দুই বাহিনীর লড়াইয়ে সুদানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি)।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলমান এ লড়াইয়ের কারণে সুদানে ২০ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া ৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সূত্র: আল আরাবিয়া