চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের দুই মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে দুই লাখ টাকা এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এছাড়া আহতদের ওষুধসহ যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
শনিবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম খুলেছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন’ প্ল্যান্ট নামে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কোনো কারণ জানা যায়নি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত অবস্থায় ১৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম শামসুল আলম (৫০)। অপর চারজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিক ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. নূর হোসেন (৩০), মো. আরাফাত (২২), মোতালেব (৫২), ফেনসি (৩০), মো. জসিম উদ্দিন (৪৫), নারায়ণ (৬০), মো. ফোরকান দাদা বয়স (৩৫), শাহরিয়ার (২৬) ও মো. জাহিদ হাসান (২৬)।।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাইরেন বাজিয়ে একের পর এক আসছে অ্যাম্বুলেন্স। আহতদের বেশিরভাগের শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে গেছে। আগে থেকে স্বজনদের কেউ কেউ এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে চমেক হাসপাতালের আশেপাশের এলাকা।
আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, আমি নিজে জরুরি বিভাগে চলে আসছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। তারা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে আমরা ওষুধ, সেলাইন, ইনজেকশন দিচ্ছি।