সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সঙ্গশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিছানাকান্দি, সাদা পাথর, রাতারগুল ও লালাখাল বন্ধ থাকবে।

এর আগে বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর পর্যন্ত সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে আকস্মিক পানি প্রবেশ করে।

আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে এ সব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। পরিবার-পরিজন, গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং সারিগোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আকস্মিক বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্ট এবং যথাক্রমে গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এরইমধ্যে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *