মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান আর নেই।
শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ রাসেল।
৮২ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রামণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার (১০ জুন)। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার জানাজা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে সিরাজুল আলম খানের লাশ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে। গত ৭ মে রাতে শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা নিয়ে ঢাকার পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন সিরাজুল আলম খান। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২০ মে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার ‘নিউক্লিয়াস’ গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।
১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়। সিরাজুল আলম খান কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের পরামর্শক হিসেবে তাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকতেন। তিনি কখনও জনসম্মুখে আসতেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি তিনি।