অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে সিঙ্গাপুর। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্র বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী জোসেফাইন টিও বলেছেন, বড় অপরাধীদের বিরুদ্ধেও কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, এটি তারই প্রমাণ।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গ্রেফতার ও তদন্ত দেখিয়ে দিয়েছে, সিঙ্গাপুর সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও কর্মকাণ্ড শনাক্ত করতে সক্ষম।
অর্থপাচার-বিরোধী ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় প্যানেল গঠন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন টিও।
এদিন পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের প্রায় ৬০টি প্রশ্নের জবাব দেন জোসেফাইন টিওসহ সরকারের তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
টিও জানান, ২০২১ সালে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহভাজন লেনদেনের খবর পাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নজরে রাখছে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। সূত্র সময় টিভি।
সরকার বলেছে, তারা এই ঘটনায় জড়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছে। কেউ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে প্রমাণ পাওয়া গেলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে।
তবে চীনা কর্তৃপক্ষের চাপে অর্থপাচারবিরোধী এই অভিযান শুরু হয়েছিল, এমন দাবিকে ‘পুরোপুরি অসত্য’ ও গুজব বলে উড়িয়ে দেন সিঙ্গাপুরের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সন্দেহ হয়েছিল বলেই আমরা তদন্ত শুরু করেছিলাম। এরপর নিশ্চিত হলে আমরা কাজ শুরু করি।
এর আগে, গত আগস্টের মাঝামাঝি একযোগে অভিযান চালিয়ে ১০ বিদেশিকে গ্রেফতার করে সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ। সেসময় বিলাসবহুল সম্পত্তি, গাড়ি, সোনার বার, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ এবং প্রায় ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার মূল্যের গহনা জব্দ করা হয়।