ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে প্রণোদনার ঋণ বাড়াতে শর্ত শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ও সেবা খাতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (সিএমএসএমই) প্রদও ঋণ বা বিনিয়োগসমূহ এ স্কিমের আওতায় পুন:অর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে উৎপাদন ও সেবা খাতে প্রদও বা প্রদেয় মেয়াদী ঋণ এই স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য মর্মে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি চলতি মূলধন হিসেবে বিতরণকৃত ঋণ ও বিনিয়োগ এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, আমদানী বিকল্প পণ্য উৎপাদনসহ সেবা খাতে অধিক সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদেরকে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে মেয়াদী ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে “সিএমএসএমই খাতে মেয়াদী ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’’ নামক ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালুকরা হয়।

এতে বলা হয়, বর্তমান চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাগণও নতুন করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির গতি চলমান রাখার লক্ষ্যে সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মকান্ডে উদ্যোক্তাগণের মেয়াদী ঋণ বা বিনিয়োগের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণ ও বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক তাদের গ্রাহকদের এই চাহিদা পূরণে অর্থায়ন করার প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে উৎপাদন খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতেও ঋণ ও বিনিয়োগের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...