ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য অবণ্টিত লভ্যাংশ বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল (সিএমএসএফ) ইতোমধ্যে ১১৭০ জনকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সিএমএসএফ ফান্ডের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৭০ কোটি টাকা, এর মধ্যে নগদ টাকা সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা। স্টক সংগ্রহ হয়েছে ৭১০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, পাওনা বুঝে পাওয়া বিনিয়োগকারীদের মাঝে নগদ অর্থ পেয়েছেন প্রায় ৮০০ জন এবং শেয়ার পেয়েছেন ৩৭১ জন।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সিএমএসএফ ফান্ডে এখন পর্যন্ত আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৭০ কোটি টাকা, এর মধ্যে নগদ টাকা সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা। স্টক সংগ্রহ হয়েছে যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৭১০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের যেই সম্ভাবনা আছে তা এখন সফল না হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ আজ খারাপ কাল তো খারাপ নাও থাকতে পারে। আগামী দিনের সুন্দর পুঁজিবাজারের জন্যই আমরা সবাই কাজ করছি, হয়তো তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উন্নয়নে ইটিএফ চালু করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে ৩ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এটি চালু করতে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, আমরা সিএমজেএফ-সিএমএসএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি সিএমজেএফর সহযোগিতায় এই কাজ দ্রুত করতে পারবো। অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জুড়ি বোর্ড করা হবে তারাই ভালো প্রতিবেদন করা সাংবাদিককে নির্বাচিত করবেন।

তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য যথাযথভাবে দিয়েছে কিনা, সেটা যাছাইয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কোম্পানিকে আমরা অডিট করবো। আগামী ৩০ জুনের পর যদি কেউ অবণ্টিত লভ্যাংশ না দেয় তাদেরকে জরিমানা করা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সেবাটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উপযোগী করতে ডিজিটালাইজেশন করা জরুরি। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারিরা সহজে অনলাইনে বা ঘরে বসে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবে। বর্তমানে এই ফান্ডটি বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যারা লভ্যাংশ পাচ্ছে না তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এবং অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান। এসময় তিনি বলেন, সিএমএসএফ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একটি অভিনব উদ্যোগ। বিশেষ করে যখন অনেকগুলো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ অনেকগুলো কারণ দেখিয়ে বা ইচ্ছাকৃত ভাবেই ঠিকমত বণ্টন করছিলো না। যার ফলে টাকাগুলো কোম্পানিগুলোর কাছেই থেকে যেত। আর সেই টাকাগুলো কিভাবে বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় এবং সহজে বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌছে দেয়া যায় সে উদ্দেশ্য নিয়েই সিএমএসএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সিএমজেএফ টকের সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...