আবারও সারাদেশের হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে এ অভিযান চালানো হবে বলে জানিরয়ছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারো ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি জানান, একটি সমন্বয় টিম করার জন্য সিভিল সার্জনদের বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার এবং লোকাল ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে একটি অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে। যেসব ফার্মেসি কিংবা ক্লিনিক স্যালাইন মজুত করেছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অনুপযুক্ত আইসিইউ যাদের আছে তাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইভি ফ্লুইড দেওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু অসাদু ব্যবসায়ী এই সময়ে এসে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুদ থাকলেও সংকট দেখা দেয়। আর্টিফিশিয়াল যে সংকট তৈরি করতে চায় তা যেন না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করছি। আমরা ৩ লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।