সংঘাত থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্য সামনে রেখে ‘ভবিষ্যতের জন্য সম্মেলন’ বা ‘সামিট অব দ্য ফিউচারে’ যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীতে জড়ো হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। তবে চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মেলনের উচ্চাশা পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয় এখনও রয়ে গেছে আয়োজকদের মধ্যে। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস ‘এক প্রজন্মের সুযোগ’ হিসেবে ২০২১ সালে প্রথম এই বৈঠকের প্রস্তাব করেন আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে মানব ইতিহাসকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য নিয়ে। আগামী মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সপ্তাহব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে যোগ দিতে আসা বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা আজ রোববার ‘ভবিষ্যতের জন্য চুক্তিতে’ পৌঁছতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শেষ পর্যায়ের দর-কষাকষি করার পর অ্যান্টোনিও গুতেরেস কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সর্বোচ্চ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। বর্তমান হুমকি মোকাবিলায় কার্যকরভাবে সাড়া দিতে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ধনকে আরও শক্ত করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে প্রস্তাব হিসেবে পাস করার জন্য যে পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে, তার সর্বশেষ সংস্করণে বিশ্বনেতারা পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি চলতি সংকট মোকাবিলায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা ও স্বার্থকে রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্বনেতাদের জন্য তৈরি নথিপত্রগুলোতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সমগ্র মানবতার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ রয়েছে।’
প্রায় ৩০ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা এই চুক্তিতে ৫৬টি কর্মতৎপরতার কথা রয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতিতে বহুপাক্ষিকতার প্রতি অঙ্গীকারসহ জাতিসংঘের সনদ ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অস্ত্রবিরতিকরণ ও কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার উন্নয়নে দিকনির্দেশনার কথাও বলা হয়েছে এই নথিপত্রগুলোতে।