রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পাঁচ মন্ত্রীসহ আটজনের ৪১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সিএমএম কোর্ট তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এ ছাড়া আজ বিভিন্ন মেয়াদে আরও কয়েকজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহাজাহান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত রয়েছে।
শুনানি শেষে রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে হাইকোর্টের জাল ভোটের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচ দিন ও বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান জিয়ার আবারও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়াও যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের ৪ দিনের রিমান্ড, নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৫ দিনের এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ৩ দিন ও বংশাল থানার মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ড দেন। এবারে মোট ৭ দিন রিমান্ড থাকবেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর আগে, তিনি প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রিমান্ডে ছিলেন।
এদিকে আবারও চকবাজার থানার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাজী সেলিম ৫ দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়াও রাজধানীর চকবাজার থানায় করা হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর থেকে ওই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আত্মগোপনে চলে যান।
আত্মগোপনে গেলেও গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সাবেক সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বিভিন্ন জায়গায় থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃদের মধ্যে অনেকের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।