ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই সোহেল আহমেদ।
অপরদিকে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চাইতে গেলে সেখানে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে সেখান থেকে চলে যান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর কুমিল্লার গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণ করার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেসময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে বিএনপি-ছাত্রদলের সাতজন আহত হন। সেই গুলিতে আহত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়নকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেই ঘটনার পরদিন ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই আফসাল হোসেন খান পুলিশের কাজে বাধা ও আক্রমণের জন্য বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলামকে গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নিহত নয়নের মামলার আইনজীবী এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী ক্যাডাররা নয়নকে হত্যা করেছিল। তখন আদালতে বিচার চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ২০২৪ সালে এসে মুক্ত বাংলাদেশে ডিবি পুলিশের তদন্তে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আর এই আদেশে আমরা সন্তুষ্ট।