ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

সাধারণত ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি। এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিন ক্রিমের কাজ।

সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। প্রতিদিন আমাদের ত্বক ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির মুখোমুখি হয়। অতিবেগুনি রশ্মির প্রকারভেদ আছে; একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি।

ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত গিয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ পরে এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যা সৃষ্টি করে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের সুপারিশ করে। ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুইরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ+++ এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

এসপিএফ হল সান প্রটেক্টশন ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন ক্রিম একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে। কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত।

ত্বকের প্রকারভেদ অনুযায়ী বাইরে বের হওয়ার সর্বোচ্চ ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে। রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিন ক্রিমই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিন ক্রিমের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

আমেরিকান ব্র্যান্ড সিওডিল বাজারে আনতে যাচ্ছে ক্রিম এসপিএফ ৩০, জেল ক্রিম এসপিএফ ৩০, ডি-পিগমেন্ট এসপিএফ ১০০ সানস্ক্রিন এবং ডি-পিগমেন্ট ক্রিম যা আপনাকে খুব সহজেই হাইপার পিগমেনটেশন এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি দেবে। পাওয়া যাবে আপনার নিকটস্থ যেকোনো ফার্মেসি এবং হারল্যান স্টোরে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...