টানা সাত দিনের চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার (১৪ ও ১৫ জানুয়ারি) বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে আগুনের ভয়াবহতা। এরইমধ্যে সবচেয়ে বড় পালিসেডস দাবানলে ২৩ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বজ্রপাত, গ্যাস, বিদ্যুৎ; নাকি মানুষের হাতে এই ভয়াবহ বিপর্যয়?- প্রকৃত কারণ জানতে উঠে পড়ে লেগেছে লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ।
দাবানলে পুড়ছে হাজার হাজার একর এলাকা। সাধারণ মানুষ, পশুপাখি কিংবা আবাসিক অবকাঠামো নিস্তার নেই কোনোকিছুরই। যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেসে সক্রিয় আছে এখনো তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যালিসেইডস দাবানলে ২৩ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত এর মাত্র ১৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ইটন দাবানল ধ্বংস হয়েছে ১৪ হাজার একর এলাকা।
বাসিন্দারা নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার সান্তা আনা বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে ভয়ংকর আগুন। বাতাসের পূর্বাভাস থাকায় জরুরি প্রস্তুতি সেরেছে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা। দাবানল চলমান এলাকাগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি আছে কারফিউ।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য শত শত ফেডারেল কর্মী এবং সাহায্য পাঠানো হয়েছে। যেকোনো অতিরিক্ত সাহায্যের অনুরোধে দ্রুত সাড়া দেবে তার প্রশাসন।
এদিকে, দাবানলের মধ্যেই লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলা অ্যাটর্নি নাথান হকম্যান।
অন্যদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের সাধারণ কারণ হিসেবে বজ্রপাতকে দায়ী করা হয়। কিন্তু, এবার বজ্রপাতের কারণে দাবানল হয়নি। গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছি কি না তাও আমলে নেয়া হয়েছে। এছাড়া, কেউ আগুন দিতে পারে এই শঙ্কাও রয়েছে। তবে, উপযুক্ত প্রমাণের আগে মন্তব্য করতে চায় না লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ।