নভেম্বর ২৮, ২০২৪

শরিক দলগুলোর নেতারা অসন্তুষ্ট হলেও ১৪ দলীয় জোটের জন্য আওয়ামী লীগ সাতটির বেশি আসন ছাড়তে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটকে সাতটি আসন ছাড় দেয়া হয়েছে। যা হওয়ার হয়েছে, এর বাইরে কিছু সম্ভব না।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু একাত্তরকে বলেন, আপাতত সাতটি সাতটি আসনে ছাড় দেয়া হয়েছে।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছেন জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ১৪ দলের প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে আরেকবার বসে আসন ভাগাভাগির বিষয় ঠিক করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্তুষ্ট অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। যার যার প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে, কেউ বাধা দেয়নি।

‘শরিক দলের কাউকে আমরা বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারবো না। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

এদিকে জাতীয় পার্টির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসন বণ্টনের চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতার আলোচনা।

শরিকদের জন্য আপতত সাত আসনে ছাড় আওয়ামী লীগেরশরিকদের জন্য আপতত সাত আসনে ছাড় আওয়ামী লীগের
মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। ওই বছরের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফা ঘোষণা দিয়ে ১৪ দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়।

২০০৮ সাল থেকে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনেও জোটসঙ্গীদের ১৩ আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

জোটের অন্যান্য দলের সিংহভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...