নরসিংদীতে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজন আটক করেছেন ট্রাফিক কন্ট্রোলের নিয়ন্ত্রণে থাকা একদল শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আনসার ভিডিটির জেলা কমান্ড্যান্ট এডজুটেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম।
আটক তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২) এবং আশুগঞ্জের দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে ও প্রাইভেটকার চালক জুলহাস মিয়া (৩২)।
শিক্ষার্থী ও আনসার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুল পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশেই অবস্থান করছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। এ সময় একটি প্রাইভেটকার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। এর চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। প্রাইভেটকারে থাকা দুইটি ব্যাগ তল্লাশী করে এসব টাকা পাওয়া যায়। পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেটকারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি
এরপর বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা ও গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেন। কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে এসব টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে দেখা যায় ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে সেখানে। ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আনসার ভিডিটির নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট এডজুটেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেছে। উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এসব টাকা জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।