রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ এবং পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছে আট শতাধিক পর্যটক।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। একই সঙ্গে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক যৌথ বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
অবরোধের কারণে শুক্রবার খাগড়াছড়ি থেকে যারা সাজেক গিয়েছিলেন, তারাই মূলত সেখানে আটকে পড়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ।
খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ও দুপুর মিলে ১১৫টি জিপ এবং ৫০-এর বেশি সিএনজিচালিত মাহেন্দ্র গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করে। প্রতিটি জিপে ১২-১৪ জন এবং মাহেন্দ্রতে ৪-৫ জন যাত্রী যেতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউপিডিএফের অবরোধের ডাকে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা। শুনেছি, বেইলি সেতুগুলো থেকে পাটাতন খুলে নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পর্যটকদের বহন করা গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সমিতির পক্ষ থেকে কোনও গাড়ি সাজেক থেকে আজ ফেরেনি।’
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মন বলেন, ‘অবরোধের কারণে সাজেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পিটুনিতে মো. মামুন নামে এক যুবক প্রাণ হারান। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, ‘অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় কোনও গাড়ি আজ ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটকরা আটকে পড়েছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’