ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতিতে অংশ নিয়েই বিপাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব।

গত ৫ আগস্ট সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বিপদে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়া ব্যক্তিরা। সেই তালিকায় আছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে অনেক হত্যা, নৈরাজ্য হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকেও। যে কারণে তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে।

তবে সাকিব যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেই প্রত্যাশাই করেন আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি করায় জেল জুলুমের নির্যাতনের শিকার হওয়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৫ বছর ধরে যে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছি, সেটি যেন আর কারও প্রতি না হয়। সাকিবের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে, কিন্তু এই মামলার সূত্র ধরে সাকিবকে যেন কোনো প্রকার হয়রানি না করা হয়, আমি এটাই চাই।’

সাকিবের ব্যাপারে আমিনুল আরও বলেছেন, ‘সাকিব গত জানুয়ারিতে একদলীয় ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়ে অপরাধ করেছে বলেই আমি মনে করি। সে নির্বাচনটা ইচ্ছা করলেই এড়াতে পারত, নির্বাচন না করলে তাকে হয়তো এত সমালোচনার শিকার হতে হতো না ‘

তিনি আরও বলেছেন, ‘সাকিবের ব্যাপারেও আমার একই চাওয়া। সে যদি অপরাধী হয়, তাহলে তার বিচার হবে, কিন্তু কোনো ধরনের অন্যায়ের শিকার যেন সে না হয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...