সব শেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ম্যাচ ফি বেড়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেবার টেস্টের জন্য ৬ লাখ টাকা, প্রতি ওয়ানডের জন্য ৩ লাখ টাকা ও টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। ২০১২ সালে একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দেওয়া হতো দেড় লাখ টাকা। ২০১৩ সালে সেটাকে করা হয় দুই লাখ টাকা। পরের বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ ফিও বাড়ানো হয়।
২০১৭ সালে টেস্ট ম্যাচের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করে বিসিবি। বাড়ানো হয় সীমিত ওভার ফরম্যাটের অর্থও। সবশেষ ২০২০ সালে দ্বিগুণ করা হয় টেস্টের ম্যাচ ফি। তবে বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চার দফায় বেড়েছে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের ম্যাচ ফি।
এদিকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সুখবর পেতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর বাড়তে যাচ্ছে বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগামী বোর্ড সভায় তিন ফরম্যাটের ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘২০২০ সালে শেষবার ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়েছিল। এবারের বোর্ড সভায় ম্যাচ ফি নিয়ে একটা আলোচনা হবে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’
এদিকে বোর্ডের একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছে, ওয়ানডের ম্যাচ ফি’তে ৬০ শতাংশের বেশী বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ লাখ টাকা। টেস্টে ৬ লাখ থেকে হতে পারে ৮ লাখ ও টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি হতে পারে আরও এক লাখ (মোট ৩ লাখ)। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের তুলনায় অবশ্য অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি আরও বেশী। বিসিসিআই প্রতি টেস্টের জন্য ক্রিকেটারদের ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি দিয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা টেস্ট প্রতি ১৪ লাখ ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা একটি টেস্টে খেলে পান ২০ লাখ টাকা।