সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

করোনা পরবর্তী সময়ে দ্বিগুণ হয়েছে সাইবার হামলা। ফলে বড় ঝুঁকিতে আছে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় বড় সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন থেলেসের সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেমস ম্যাকলারি।
আজ সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশের কসমস গ্রুপ ও ফরাসি প্রতিষ্ঠান থেলেসের আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে এসব বিষয় উঠে আসে।

সেমিনারে থেলেসের সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও এশীয় অঞ্চলের সাইবার নিরাপত্তা প্রধান জেমস ম্যাকলারি বলেন, বর্তমানের সাইবার হামলা আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় বড় সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে।

চলতি বছর মার্চে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাইবার হামলার সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে ম্যাকলারি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সাইবার হামলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি ই-মেইল হারিয়েছে। একইভাবে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক অব আমেরিকা বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়। এতে করে ব্যাংকটির ৫৭ হাজার গ্রাহকের তথ্য চুরি হয়ে যায়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে সাইবার হামলার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মহাদেশটির সব ব্যাংককে সাইবার হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতির কথা বলেছে। ব্যাংকিং খাতে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাইবার হামলা মোকাবিলা করা।

ম্যাকলরি জানান, সাইবার হামলার কারণে প্রতিবছর আর্থিক কোম্পানিগুলোর মাথাপিছু ১৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার গচ্ছা যায়। এছাড়া প্রতিটি সাইবার হামলায় আড়াই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। বিশ্বের ৯২ শতাংশ এটিএম সিস্টেম সাইবার হামলার হুমকিতে আছে।

বর্তমান সময়ে এসে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের উদ্ভাবন সাইবার হামলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে ম্যাকলরি জানান, কোয়ান্টাম কম্পিউটার যেকোনো কোড ভাঙতে পারে। এতে করে সাইবার হামলাকারীরা সহজেই ব্যাংক খাতকে বিপদে ফেলতে পারবে। এখন থেকে এআই ও কোয়ান্টামের বিপরীতে কীভাবে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে হয় সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে। সূত্র সময়টিভি।

ব্যাংকের বাইরে সাধারণ মানুষ অহরহ সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে ম্যাকলরি বলেন, এখন আর মোবাইল বা ল্যাপটপে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে লাভ নেই। প্রযুক্তি অনেকদূর এগিয়ে গেছে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে প্রযুক্তিগত উন্নতির কোনো বিকল্প নেই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *