সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানির তথ্য আসে। আগস্টের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লং মার্চের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান।
এরপরই তার সরকারের সময়ের মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে, যারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বুধবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ৬ আগস্ট বিকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে আটকে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ১৩ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।