ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবী নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জেরে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল গুজরাটের আদালত। হাইকোর্টও সেই শাস্তি বহাল রেখেছিল। হাইকোর্টের রায়ের পরই সাংসদপদ হারান রাহুল। তাকে সরকারি বাড়ি ছেড়ে দিতে হয়।
সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় স্থগিত করেছে। তার ৪৮ ঘণ্টা পরেই আবার লোকসভার সাংসদপদ ফিরে পেলেন তিনি।
সোমবার সকালেই লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, রাহুল গান্ধী আবার তার সাংসদপদ ফিরে পাচ্ছেন। আদালত পরবর্তী কোনো নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি সাংসদ থাকবেন।
রাহুল বেলা বারোটার আগে সংসদভবনে ঢোকেন। তিনি সোজা চলে যান গান্ধীমূর্তির সামনে। সেখানে প্রণাম করে রাহুল ঢোকেন সংসদভবনে। মা সোনিয়া আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। সংসদভবনের বাইরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের নেতা ও সাংসদরা রাহুলকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হাসতে হাসতে রাহুল সংসদভবনে ঢোকেন। তারপর সোনিয়া ছেলেকে নিয়ে ঢোকেন সেন্ট্রাল হলে। তার আগে কংগ্রেস সবাইকে মিষ্টিমুখ করায়। ইন্ডিয়া জোটের নেতাদেরও মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনে শুরু হয় উৎসব। ব্যান্ড ও ঢোল বাজিয়ে নাচতে শুরু করেন প্রচুর কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থক।
কংগ্রেস ঠিক করেছে, মঙ্গলবার থেকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হবে, সেখানে রাহুলই হবেন কংগ্রেসের প্রধান বক্তা। তিনিই সরাসরি আক্রমণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
কংগ্রেস সাংসদ মাণিকরাম ঠাকুর বলেছেন, রাহুল মণিপুর গেছিলেন। তিনিই সেখানকার পরিস্থিতির কথা জানাবেন এবং বিরোধী জোটের হয়ে বলবেন।
কংগ্রেসের বক্তব্য, ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জয় হলো। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, এটা গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থার জয়। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই