নতুন চাকরিজীবীরা পেনশন পাবেন না, যাবেন সর্বজনীন পেনশনে— উল্লেখ করা প্রজ্ঞাপনটিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘শাবি শিক্ষক সমিতি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এমন বৈষম্যমূলক ও একচোখা প্রজ্ঞাপনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরম উদ্বিগ্ন ও গভীরভাবে মর্মাহত। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তুষ্টি, গভীর উৎকণ্ঠা ও ভীষণ হতাশা কাজ করছে। শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও অবহেলা করে কোনো জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির সভ্যতার ইতিহাসে নেই। কেননা, জ্ঞানের চেয়ে বড় শক্তি পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই এবং শিক্ষক বিদ্যা ও জ্ঞানের সেবক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বায়নের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একই বেতন স্কেলে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় বলেও শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার কোনো দূরভিসন্ধি এবং সরকার ও শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর কোনো ষড়যন্ত্র কি না শাবি শিক্ষক সমিতি তাতে সন্দিহান। তাই শাবি শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর যোগ দেবেন, সরকার তাঁদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করল।