আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সন্দেহ হলে যেকোনো সময় মাদক শনাক্তকরণ টেস্ট (ড্রাগ অ্যাবিউজ) করা হবে। মাদক নেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পার হলে ডোপ টেস্টে আর শনাক্ত করা যায় না। সেজন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যেকোনো সময় সন্দেহ হলে ডোপ টেস্ট করা হবে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেয়া হবে। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে ফেরত না যায় এ জন্য গোপনে কিছু এনজিও কাজ করছে। তারা গুজব ছড়াচ্ছে, মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদের হত্যা করা হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্য গুদামজাত করে রাখে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।
হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি জানান, এ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়েও বলা হয়েছে। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।