

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝে সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বাজারে। সবজির দাম হয়ে উঠেছিল আকাশচুম্বী। তবে সে অবস্থার বেশ পরিবর্তন হয়েছে। কমেছে সবজির দাম।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকজটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে অনেক সবজির।
দুই সপ্তাহ আগে আকস্মিকভাবে বেড়ে যায় কাঁচামরিচের দাম। ৬০০ টাকায়ও রাজধানীর বাজারে বিক্রি হয়েছে এক কেজি কাঁচা ঝাল। গত সপ্তাহেও এই রান্নার উপকরণ ছিল ৩২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৪০ টাকা কমেছে মরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কমছে। এখন ৬০০-৭০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি)। আমরা খুচরা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতেছি।
শুধু কাঁচামরিচ নয়, দাম কমেছে অন্যান্য সবজিরও। এদিন বরবটি বিক্রি হতে দেখা গেছে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি। কাকরোল ৮০-১০০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা।
টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। গাজর ১৬০-১৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দুন্দল, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়শ। পেঁপে বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লাউ ৮০-১০০ টাকা পিস, লেবুর হালি ২০ টাকা, কচুর মুখি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।