ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে তেলআবিবে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। দেশটিতে নতুন নির্বাচন দেওয়া এবং গাজায় বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার এ বিক্ষোভে আনুমানিক দেড় লাখ ইসরাইলি অংশ নেন। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলে দাবি করেছে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ সংগঠন হফশি ইসরাইল। খবর আল-জাজিরার
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলার পর গাজা যুদ্ধ ৯ মাসে গড়িয়েছে। ওই দিন হামাসের হামলা ঠেকাতে না পারা, বন্দি ইসরাইলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থতা, যুদ্ধ টেনে নেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে এখন ইসরাইলের শহরগুলোতে বড় বিক্ষোভ হয়ে আসছে।
এর মধ্যে শনিবার ইসরাইলের বৃহত্তম শহরটিতে ওই বিক্ষোভে অনেকে ‘অপরাধমন্ত্রী’ এবং ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন। নেতানিয়াহুর অধীনে দেশটির গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে- প্রতীকীভাবে দেখাতে কিছু বিক্ষোভকারী লাল রঙ মেখে শহরের ডেমোক্রেসি স্কয়ারে শুয়ে পড়েন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঠিকাদার শাই এরেল বলেন, আমি এখানে আছি কারণ, আমি আমার নাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত। আমরা যদি বের না হই এবং ভয়ঙ্কর এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি না পাই তাহলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নেসেটের সবাই প্রতারক… আমি নিশ্চয় তাদের কাউকে একটি কিন্ডারগার্টেনের নিরাপত্তা দিতে পাঠাব না।
জনতার উদ্দেশে ভাষণে ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন নেতানিয়াহুকে দেশটির ‘সবচেয়ে খারাপ প্রধানমন্ত্রী’ বলে নিন্দা করেন।
পেশার ট্যুর গাইড ৫০ বছরের ইয়োরাম জানান, প্রতি সপ্তাহান্তে বিক্ষোভে আসেন তিনি। নেতানিয়াহুর কারণে ইসরাইলে নির্বাচন দরকার। তিনি বলেন, আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে। আর আমরা যদি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি, তাহলে সেটা আর গণতান্ত্রিক কোনো নির্বাচন হবে না।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে দেশটির ডানপন্থী জোটের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য, নিরাপত্তামন্ত্রী ইতমার বেন-গাভি এবং অন্যান্য অতি-ডানপন্থী আলট্রা ন্যাশনালিস্টরা গাজা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করে দেশটির নিরাপত্তা ও বন্দিদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এদিকে শনিবার রাতে তেল আবিবের রাজপথে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের হাজারো স্বজন ও সমর্থক।