গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৪.০৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯২৪ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৪৮৭ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার বা ২৪.০৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে নেমেছ।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮.৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৭৫টির। আর ২৭৭টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ০৫ হাজার ৭৭২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২১ কোটি ০১ লাখ ০৯ হাজার ১৭১ টাকা কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮১.০২ পয়েন্ট বা ০.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৮.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪৮.৬২ পয়েন্ট বা ০.৪৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৮.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১২.১২ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৮৭.৮৬ পয়েন্টে, এক হাজার ৩২১.৪৯ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৫৮.৯৮ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ২০.১৩ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৩৩.৭২ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩টির বা ১০ শতাংশের দর বেড়েছে, ৫৫টির বা ২৩.৯১ শতাংশের কমেছে এবং ১৫২টির বা ৬৬.০৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।