নভেম্বর ১৪, ২০২৪

আজ সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগ করছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। অন্যান্য বিচারপতিরা কী করবেন, প্রশ্ন করলে তাদের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রধান বিচারপতি।

আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ মনে করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ না করলে আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করবো।’

এছাড়াও একই দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরাও। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে সেনা সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন, অ্যানেক্স ভবন এবং আশাপাশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আছেন। এসময় তারা মাইকে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সরকারি সম্পদ নষ্ট না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...