জুলাই ৫, ২০২৪

জাতীয় সংসদে ট্যারিফ কমিশনের এক বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে সহজলভ্য করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলেও তা করার ক্ষমতা তাদের নেই।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল–২০২৪’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

এ বিলে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব পদের নাম পরিবর্তন করে আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করেন। এরপর বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। নতুন এ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব পদের নাম হবে ‘পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)’।

বিলের ওপর সংশোধন আলোচনায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটা সংস্থা আছে যারা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করে। উপজেলা পর্যায়ে দেখেছি, একটা কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার জন্য পাঁচ-ছয়টা পণ্য কিনতে হবে। অনেক মানুষ এটা নিতে পারে না। যার যেটা প্রয়োজন নেই সেটাও টিসিবির কাছ থেকে নিতে হবে। এই হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। এ আইনটি না এনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো আইন নিয়ে আনতেন, সিন্ডিকেট ভাঙার মতো কোনো আইন নিয়ে আসতেন, তাহলে মনে করতাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো কোনো কাজ করছে। বিভিন্ন সময় তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। যখন তারা বাজারে যান তখন বাজারটা ঠিক থাকে। কিন্তু তারা চলে এলে আবার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় চলে যায়। দাম দ্বিগুণ বাড়ে।

তিনি বলেন, ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা লাভ করে কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। ওষুধ কোম্পানিগুলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, কম শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল নিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে ওষুধের দাম বেশি। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মানুষ সুচিকিৎসা পেত। আইন করে ক্যানসারের ওষুধের দাম, কিডনি চিকিৎসা কমাবার কথা বলা হচ্ছে; এ কোম্পানিগুলো কি বাইরের? এরা কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? এরা আমাদের দেশি মালিক, এদের কি বিবেক নেই? কত শতাংশ লাভ করছে? এরা ১০০ শতাংশ লাভ করে! যারা দোকানে বিক্রি করে ৩০-৪০ শতাংশ কর দেয়। অনেক ওষুধের মধ্যে দাম লেখা থাকে না। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *