সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেছেন, নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। এখানে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে কোনো কথা নাই। এ দেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা        বলেন  তিনি।

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেনো সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

তিনি বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন ধর্মীয় কোনো বৈষম্য নেই। যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম, সে সে পালন করবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের। আমরা সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে উৎসবে সামিল হতে চাই।

এ সময় তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়। ভোট দিয়ে দেশসেবার সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

সব ক্ষেত্রেই কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ থাকে, তারা কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, এ ছাড়াও দেশের ভেতরে কিছু মানুষ আছে যারা, বিদেশে গিয়েও দেশের বদনাম করে। এ ব্যাপারেও সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে সুযোগসুবিধা-অধিকার নিয়ে বাঁচবে। কারণ আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সেই শিক্ষা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *