শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব রূপালি ব্যাংক শেয়ার মানি ডিপোজিট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনার মানছে না। যা মানতে গেলে ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাবে। এতে কমে আসবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ও লভ্যাংশ প্রদানের হার।
ব্যাংকটির ২০২২ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, রূপালি ব্যাংকে ৬৭৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার মানি ডিপোজিট রয়েছে। যে অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ি ১ বছর ও ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ৬ মাসের মধ্যে শেয়ারে রুপান্তর করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু রূপালি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা করেনি।
রূপালি ব্যাংক খুবই সাদামাটা ব্যবসা করে। এই অবস্থায় ব্যাংকটির যদি শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারে রুপান্তর করা হয়, তাহলে ব্যাংকটির ৪৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার বর্তমানের পরিশোধিত মূলধন বেড়ে হবে ১ হাজার ১৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারপ্রতি মুনাফা অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসবে। যাতে শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা কমে যাবে।
দূর্বল ব্যবসার এই ব্যাংকটির সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) ঘাটতিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা সমন্বয়ে ২০২৩ সালের আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করা পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রূপালি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৯.৮১ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০৬ জুন) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৫.২০ টাকায়।