নভেম্বর ১৫, ২০২৪

পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয়ার পর প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে শেয়ারধারী বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৪৩ হাজার ৩৪০টি। অন্যদিকে কোনো শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৫০ হাজার ৯৭৭টি।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৫ হাজার ৭৬৩। সর্বশেষ ২৫ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৩টিতে। ২১ জানুয়ারি শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪০২। ২৫ মার্চে তা বেড়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৯-তে উন্নীত হয়।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি বাদে সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পর আরো দুই দফায় ২৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস  প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বর্তমানে বহাল আছে ছয়টির ওপর। এ আদেশ কার্যকর হওয়ার পরই মূলত কমতে শুরু করেছে শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা। বিপরীতে বাড়ছে শেয়ার না থাকা বিও হিসাব। তবে দুই মাসের ব্যবধানে মোট বিও হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ২২৪টি।

সিডিবিএলের তথ্যমতে, গত ২১ জানুয়ারি মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭১। ২৫ মার্চ তা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫তে। ২১ জানুয়ারি পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৬, যা ২৫ মার্চ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২তে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজার ৩৬৬টি। অন্যদিকে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১২টিতে। ২১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৫২, যা ২৫ মার্চ শেষে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৫ মার্চ ব্যক্তিগত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৭, যা ২১ জানুয়ারি ছিল ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৪টি। এক মাসের ব্যবধানে ব্যক্তিগত বিও হিসাব কমেছে ৬৪ হাজার ৯২৫টি। ২৫ মার্চ যৌথ বিও হিসাব দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৯টিতে, যা ২১ জানুয়ারি ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪।

গত ১৮ জানুয়ারি সমাপ্ত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি লেনদেন ৬৫ শতাংশের বেশি বাড়ে। ওই সময় আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেনও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ওই সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ১৯৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। দৈনিক গড়ে লেনদেন হয় ৭২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার।

কিন্তু এর পর থেকে সর্বশেষ গত ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নিম্নমুখী ছিল সূচক ও লেনদেন। ওইদিন সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন প্রায় ২৯ শতাংশ কমে যায়। সার্বিক সূচক কমে দশমিক ৪৪ শতাংশ। ওই সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ডিএসইতে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। পাশাপাশি সিএসইতেও লেনদেন ও সূচক ছিল নিম্নমুখী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...