ফিলিপাইনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির রাজধানী ম্যানিলাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস এ আয়োজন করে।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন ফিলিপাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্যসহ দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার আন্দোলন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেড়ে ওঠা শেখ রাসেল শৈশবেই নেতৃত্বের প্রাথমিক লক্ষণ দেখিয়েছিলেন। রাসেলের প্রতিটি পদচারণায় ফুটে উঠত বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। পিতা শেখ মুজিবের সৌজন্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয়ের সুযোগ হয় শিশু রাসেলের। তার আত্মবিশ্বাসী বাচনভঙ্গি, বুদ্ধিদীপ্ত চাহনি ও নির্মল অভিব্যক্তি মুগ্ধ করে তৎকালীন বিশ্বনেতাদের। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জাপান সফর শেষে ম্যানিলায় সংক্ষিপ্ত সফরেও সহগামী ছিলেন শেখ রাসেল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তথা বর্তমান প্রজন্মের শিশু কিশোররা শেখ রাসেল সম্বন্ধে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের ওপর ছড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাকে নিয়ে ছড়া আবৃত্তি করে সকলকে মুগ্ধ করে বাংলাদেশি শিশু দীপ্ত, আরিফ ও তাহমীদ। উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেয় শিশুরা। এরপর উপস্থিত সকল শিশু কিশোরদের নিয়ে কেক কাটা হয় এবং সকলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব শহীদ সদস্য ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দেশ-জাতির অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।