![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2025/02/Marketing-Strategy_20250205_210706_0000.png)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিভিন্ন কমিটি করছে। বিতর্কিতদের নিয়ে ফোকাস গ্রুপ করেছে। তাদের ক্লিন ইমেজের সার্টিফিকেট দিয়েছে। ক্লিন ইমেজের সার্টিফিকেট দেয়া বিএসইসির কাজ নয়। এই কমিটিও ব্যর্থ হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চায়না যেহেতু ডিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার, তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে পারে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকেও পরামর্শ নিতে পারে। ইতিপূর্বেও এসব উন্নয়ন সংস্থা পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিভিন্ন তহবিল এবং পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া অন্য আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেয়।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়, আলোচনা ও সার্বিক বিবেচনাপূর্বক কমিশন কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’-এর পরামর্শে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’-এর আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’-এর সদস্যদের সম্মানী হিসেবে সভায় উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রত্যেক সদস্যকে সভাপ্রতি ৮ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে গত বছর ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, গঠিত টাস্কফোর্সের অধীন বিভিন্ন ইসুভিত্তিক ফোকাস গ্রুপ থাকবে। প্রতিটি ফোকাস গ্রুপ নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টাস্কফোর্সকে সুপারিশ করবে। উল্লেখ্য, কমিশনকে অবহিত করে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ উপযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করবে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, আমরা পুঁজিবাজার সংস্কারে একটি ভিত রচনা করে যেতে চাই। অনেক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে মার্জিন ঋণ এবং আইপিও নিয়ে বড় সংস্কার প্রস্তাব দেব। বাস্তবায়ন করবে কি না সেটি কমিশনের বিষয়। ফোকাস গ্রুপের যারা সদস্য রয়েছেন তারা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় কনসালটান্সি করেন। তারা বাজারে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তাদের প্রতি মিটিংয়ে ৮ হাজার টাকা দেয়া হবে। অথচ অনেকেই আছেন একদিন পরামর্শ দিয়ে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকাও পান। এখানে এত বেশি দেয়া যাবে না।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, টাস্কফোর্সকে কয়েকটি ফোকাস গ্রুপ করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। একটি হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় এ ধরনের আরো ফোকাস গ্রুপ করতে পারবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা অন্যদের নিয়ে যদি প্রস্তাব আসে, সেটিও করা হবে।
সূত্র – যায়যায়দিন