সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের মুক্তি দিতে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছিল ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের ছয় সপ্তাহের মাথায় এসে হামাসের সাথে এই চুক্তি হয়।

তবে ইসরায়েল বলছে, শুক্রবারের আগে গাজার কোনও বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি ‘শুক্রবারের আগে’ বন্দি মুক্তি ঘটবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে বন্দিদের মুক্তি বৃহস্পতিবার শুরু হতে পারে বলে যে জল্পনা ছিল সেটি কার্যত হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।

হ্যানেগবি বলেছেন, ‘বন্দিদের মুক্তি মূল চুক্তি অনুযায়ী হবে, তবে তা শুক্রবারের আগে নয়।’

এর আগে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দেয়। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী চার দিনের মধ্যে ৫০ জন বন্দি মুক্তি পাবে এবং এ সময়টিতে লড়াই স্থগিত থাকবে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এরপর অতিরিক্ত প্রতি দশজন বন্দির মুক্তির জন্য এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়বে।’

বিনিময়ে চারদিনের মধ্যে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তবে বন্দিদের মুক্তি কেন শুধুমাত্র শুক্রবার শুরু হবে সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রদান করেনি ইসরায়েল।

পৃথক প্রতিবেদনে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এ যুদ্ধবিরতি একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। এমনকি যেসব বন্দি মুক্তি পাবে তাদের নাম যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত না হচ্ছে— ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি হবে না। আর তাই কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়টি একটি ধাক্কা খেয়েছে বলেও জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবারও যুদ্ধ চলবে’। হারেৎজ নামে ইসরায়েলি অপর এক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় লড়াই থামবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সময়সীমা নিয়ে চুক্তি না হচ্ছে।’

তবে ইসরায়েলি এসব সংবাদমাধ্যমের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *