কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরক্তিকর সমস্যা শুধু বয়োজ্যেষ্ঠদেরই নয়, বাচ্চাদেরকে এই সমস্যা পড়তে হয় মাঝে মাঝে। এই সমস্যায় যে-সব বাচ্চারা ভোগেন তাদের সপ্তাহে দুইবারের কম পায়খানা হয়। যার ফলে মল শক্ত হয়ে যায়। মলত্যাগ করার সময় তারা খুব কষ্ট পায়। এমনকি এই কারণে তাদের পিছু নেয় গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। চলুন জেনে নেই এই সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া কিছু কার্যকরী উপায়।
পানি খাওয়ান বেশি করে
বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে তার মল শক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই সন্তানকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করান। বাচ্চা যদি একবারে অনেকটা পানি খেতে না চায় তাহলে অল্প অল্প করে বারেবারে খাওয়ান। এতে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সেরে উঠবে বাচ্চা। এমনকি তার হজমজনিত সমস্যাও আর হবে না।
ডালিয়া, ওটস থাকুক ডায়েটে
এই সমস্যা থেকে সন্তানকে মুক্তি দিতে চাইলে তাদের নিয়মিত খাওয়াতে হবে ডালিয়া এবং ওটস। কারণ, এই দুই খাবারে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। এই উপাদান মলকে নরম করতে সাহায্য করে। ফলে পেট পরিষ্কার হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে পেট ফেঁপে থাকার মতো সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।
শাক, সবজিতে রাখুন ভরসা
বাচ্চাদের ছোট থেকেই শাক, সবজি খাওয়ানো শুরু করতে হবে। এই ধরনের খাবারে উপস্থিত ফাইবারও সন্তানের পেটের হাল ফেরাতে পারে। যার ফলে মল নরম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজেই সেরে ওঠা যায়। শুধু তাই নয়, এ সব খাবারে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজের গুণে সন্তানের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে ইমিউনিটি। তাই সন্তানকে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক ও সবজি খাওয়ান।
লেবু জল খাওয়াতে ভুলবেন না
অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয় হলো লেবু শরবত। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা অন্ত্রে মলের গতিবিধি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত লেবু পানি খেলে মল নরম হয়ে যায়। যার ফলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্য। এর পাশাপাশি এই পানীয় খেলে বাচ্চার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পৌঁছে যায়। আর এই ভিটামিন ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো।
যা খাওয়াবেন না
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে চাইলে বাচ্চাকে কোনো মতেই ফাস্টফুড খাওয়ানো চলবে না। এর পাশাপাশি তাকে খেতে দেবেন না কোল্ড ড্রিংকস, চিপস, খাসির মাংস এবং ময়দার তৈরি কোনো খাবার। আশা করছি, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মিটে যাবে।