ছোট ও বড় পর্দার গুণী অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু আলোচিত কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি। নাটক থেকে চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র থেকে ওয়েব দুনিয়ায় পা রেখে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই শিল্পী।
বছর জুড়ে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও খুব বেছে বেছে কাজ করেন চঞ্চল। একটি চরিত্রকে বাস্তব সম্মতভাবে পর্দায় তুলে ধরতে নিজেকে প্রস্তুত করে থাকেন। পর্দার এই চরিত্র নেজের ভতরে ধারণ করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিন্তু এই চরিত্র থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে ফেরাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এই শিল্পী।
এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন— ‘‘আয়নাবাজি’ সিনেমায় একটা সংলাপ ছিল— ‘এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্র, তারপর সব হাওয়া।’ এই কথাটা আমি খুব মানি। তাই তো একটা চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য অনেক সাধনা করি, মাসের পর মাস। কোনো কোনো চরিত্রে আমার প্রবেশ করতে যেমন সময় লাগে, ঠিক বের হতেও অনেক বেগ পেতে হয়। এই অভিজ্ঞতাগুলো হয়েছে, বিশেষ করে আমার কিছু চলচ্চিত্র, ওয়েব এবং টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে।’’
নিজের বেশ কিছু আলোচিত চরিত্রের উদাহরণ টেনে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘যেমন: ‘মনের মানুষ’-এর ‘কালুয়া’, ‘আয়নাবাজি’-এর কয়েকটা চরিত্র, ‘দেবী’-এর ‘মিসির আলী’, ‘পাপপুণ্য’-এর ‘খোরশেদ চেয়ারম্যান’, ‘হাওয়া’-এর ‘চাঁনমাঝি’, ‘পদাতিক’-এর ‘মৃণাল সেন’, ‘কারাগার’-এর ‘মিস্ট্রিম্যান’, ‘বলী’-এর ‘সোহরাব’, ‘তাকদীর’-এর ‘ফ্রিজার ভ্যান ড্রাইভার’, ‘সাকিন সারিসুরি’-এর ‘জাপান ডাক্তার’ বা ‘হাড়কিপ্টে’-এর ‘বহর’। এ রকম অসংখ্য চরিত্র থেকে বের হয়ে আরেকটি নতুন চরিত্র নির্মাণ করা, এখনো আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘মনোগামী’-তে অভিনয় করেছেন চঞ্চল। তা উল্লেখ করে এ অভিনেতা বলেন, ‘‘সম্প্রতি চরকির জন্য নির্মিত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘মনোগামী’-এর ‘শাফকাত’ চরিত্রে অভিনয় শেষ করলাম। প্রায় চার/পাঁচ মাসের প্রস্তুতি ছিল চরিত্রটিকে আলাদা করে নির্মাণ করার জন্য। এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে কখনো অভিনয় করিনি। চেষ্টা করেছি নতুন করে নিজেকে হাজির করতে। এ ক্ষেত্রে ফারুকী ভাই আমাকে নিয়ে যে চেষ্টাটুকু করেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’’
‘শাফকাত’ চরিত্র থেকে বেরিয়ে এখন চঞ্চল চৌধুরী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘‘মনোগামী’-এর শুটিং তো শেষ, এবার ‘শাফকাত’ চরিত্র থেকে বেরিয়ে আবার ‘চঞ্চল’ হবার পালা। এরপর আবার হয়তো খুঁজে বেড়াব নতুন কোনো চরিত্র, দর্শকের সামনে নতুন রূপে হাজির হবার নেশায়। দর্শক গ্রহণ করলেই আমার পরিশ্রম সার্থক।’’