শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল ও ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমর উদ্দিন মাদবর কান্দির জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে সিফাত মোল্লা (২১), ভেদরগঞ্জের ছয়গাঁও ইউনিয়নের নাজিমপুর গ্রামের রতন মুন্সীর ছেলে নাদিম মুন্সী (২৫) ও মহিষার ইউনিয়নের উত্তর মহিষার গ্রামের মোসলেম মালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫)।
বজ্রপাতে জাজিরায় দেড় বছরের শিশু সুরা মনি গুরুতর আহত হয়েছে। সে বড় কান্দি ইউনিয়নের কাচারি কান্দি গ্রামের সেলিম শেখের মেয়ে।
সুরা মনির খালা পলি আক্তার জানান, শিশু সুরা মনি তার মা তানজিলার কোলে ছিল। হঠাৎ বজ্রপাতের বিকট শব্দে খিচুনি দিতে থাকে শিশুটি। তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে সিফাত মোল্লা কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও তার শিগগিরই মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। সিফাত দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফসলি জমি থেকে বোঝা মাথায় করে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আহমেদ সিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে সৌদি আরব প্রবাসী নাদিম মুন্সী দেশে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৎস্য খামারে খাদ্য দিতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়েন। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে নাজিমপুরের গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
শরীয়তপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন বলেন, বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। আজকের বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা করা হবে।