বরিশালে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই জেলায় এখন লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বরিশাল অঞ্চলে বিগত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলোর ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। আর তাই শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কারিগররা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ দুই মাসও শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। জেলার বাসিন্দারা শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে ভীড় করছেন লেপ-তোষক বানানোর দোকানগুলোতে। যে কারনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কারিগররা।
অপরদিকে সরোজমিনে দেখা গেছে, একাধিক পরিবারের সদস্যরা তাদের বসত বাড়ির বাক্সে ভর্তি করে রাখা লেপ-তোষক বের করে মেরামত করছেন।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে একাধিক লেপ-তোষক তৈরি কারিগর সুনীল, অশোক দাস ও বিনয় মালাকর জানান, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। নগরীর পদ্মাবতী রোড, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সব ক’টি কারখানা ও দোকান ছিল কারিগরদের লেপ-তোষক বানানোর কাজে ব্যস্ত কারিগরা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নগরীর পদ্মাবতী রোড’র লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান জানান, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয়। খবর বাসস।
এ ব্যপারে নগরীর চক-বাজার এলাকার ব্যবসায়ী তাপস মালাকর জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা আরো বাড়বে। বর্তমানে বিকিকিনি ভাল এবং বাজারে লোক সমাগম রয়েছে। অনেকেই আগে-ভাগে পুরনো লেপ-তোষক, বালিশ মেরামত ও নতুন ভাবে তৈরী করার অর্ডার দিয়েছে। বর্তমানে এখন পর্যন্ত একই ধারা অব্যহত রয়েছে।
একই দৃশ্য দেখা যায়- জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতেও। উপজেলা পর্যায়েও ব্যস্ত কারিগরা।