নভেম্বর ২১, ২০২৪

বর্তমান সময় বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের কারণে লিভারের বিভিন্ন রকম অসুখের কথা শোনা যাচ্ছে। এই অঙ্গটির কার্যক্ষমতা কমে গেলে পিছু নেয় বহু জটিল সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ থাকতে চাইলে লিভারের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে বাইরের খাবার, মিষ্টি এবং মদ খাওয়া ছাড়তে হবে। তার বদলে ভরসা রাখতে পারেন বাড়ির তৈরি খাবারে। পাশাপাশি নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখতে পারেন ঝিঙের মতো উপকারী একটি সবজি। তাতেই উপকার পাবেন হাতে নাতে।

ঝিঙের যত উপকারিতা

এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন এবং খনিজ। শুধু তাই নয়, এই সবজিতে খোঁজ মেলে বহু জরুরি অ্যালকালয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের। এর পাশাপাশি নিয়মিত এই সবজি খেলে দেহে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবারও পৌঁছে যায়। যার ফলে দূরে থাকে জটিল অসুখ। তাই তো বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এই সবজি খেতে বলেন।

লিভারের ফিরবে হাল

এই সবজিতে উপস্থিত কিছু উপাদান লিভারে জমে থাকা টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে এই অঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে। পাশাপাশি এই সবজিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে কমে প্রদাহ। সেই কারণে বড়সড় সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, এই সবজি লিভারের বাইল উৎপাদনের ক্ষমতা কিছুটা হলেও বাড়ায়।

তবে শুধু লিভারের হাল ফেরানোই নয়, এছাড়াও একাধিক উপকার করে এই সবজিটি। যেমন ধরুন–

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মিলবে মুক্তি

এই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ঝিঙে খুবই উপকারি একটি সবজি। কারণ, এই সবজিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান মলকে নরম করতে সাহায্য করে। যার জন্য সকাল সকাল পেট পরিষ্কারে একবারেই সময় লাগে না। তাই তো কনস্টিপেশন রোগীদের নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিসেও সেরার সেরা

সুগারের রোগীদের খুবই কার্যকরি ঝিঙা। কারণ, এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। তাই এর পদ খেলে সুগার বাড়ে না। শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত ফাইবার গ্লুকোজকে শরীরে ধীরে ধীরে গ্রহণে সাহায্য করে। ফলে চট করে সুগার স্পাইক হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আজ থেকেই এই সবজিকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।

বাড়বে ইমিউনিটি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। আর সেই কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে ঝিঙে। আসলে এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, জিঙ্ক থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। আর এ সব উপাদান ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সংক্রমণ রোগের ফাঁদ এড়িয়ে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত এই সবজি খেতে ভুলবেন না যেন!

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...