

আফ্রিকার লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় ফিরতে আগ্রহী এমন ১৫৪ বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রচেষ্টায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বুরাক এয়ারের (ইউেজড-০২২২) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় আইওএমর পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে আসা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যাবাসন করা ওইসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি থেকে ঢাকায় ফেরানো হয়।
সে সময় লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩৯০ বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন বন্দিশিবিরসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।