সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৬১ জন সমুদ্রে ডুবে গেছেন এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতভাগ্য এসব অভিবাসীর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি শনিবার বলেছে, নৌকাটি প্রায় ৮৬ জন আরোহী নিয়ে জুওয়ারা শহর ছেড়েছিল। যাত্রা করার পর উচ্চ ঢেউ নৌকাটিকে ডুবিয়ে দেয় এবং শিশুসহ ৬১ জন অভিবাসী নিখোঁজ হন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের কাছে প্রধান প্রস্থান পয়েন্টগুলোর মধ্যে লিবিয়া অন্যতম। আইওএম বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার সময় শুধুমাত্র এই বছর ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মানুষ ডুবে গেছে।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা লিবিয়ার এই রুটটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর একটি করে তুলেছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) আরও বলেছে, নৌকাডুবির সর্বশেষ এই ঘটনার শিকার অভিবাসীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে এসেছিল।

সংস্থাটি বলেছে, দুর্ঘটনার পর ২৫ জন জীবিত ব্যক্তিকে লিবিয়ার একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। আর এরপর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে।

এছাড়া লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং মানব পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *