নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আফগানিস্তানকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ফলো-অন করানোর সুযোগটা নেয়নি বাংলাদেশ। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করতে গিয়ে প্রথম ওভারে জীবন পান মাহমুদুল হাসান। তবে এই সুযোগ পাওয়াকে বড় ইনিংসে রুপান্তরিত করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। আমির হামজার ওভারে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন তিনি। ১৩ বলে ১৭ রান করে মাহমুদুল ফিরে গেলে তিনে নেমে জাকিরকে নিয়ে লড়ছেন শান্ত।

এদিকে দ্বিতীয় দিনের সকালে বড় কাজটা করে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। বাকি দায়িত্বটা ছিল ব্যাটারদের। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেনি আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি। শুরুটা দেখে শুনে করলেও আফগানিস্তানকে প্রথম ধাক্কা খেতে হয় শরিফুলের তৃতীয় ওভারে। এই পেসারের ছোড়া অফ স্টাম্পের বাইরের এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন ইবরাহিম জাদরান। এই ওপেনারকে বিদায় করে ক্রিস্টিয়ানো রোলান্ডোর মত সেলিব্রেশন করেন তিনি।

এরপরের ওভারে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার আব্দুল মালিককে বিদায় করেন এবাদত হোসেন। দারুণ এক বাউন্সারে এই ব্যাটারকে বিপদে ফেলেন তিনি। এবাদতের গতিময় বাউন্স সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে স্লিপে জাকিরকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। একটু পর আবারও আফগান শিবির হানা দেন এবাদত হোসেন। তার করা শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ৯ রানে থাকা রহমত শাহ। ক্যাচটি লুফে নেন তাসকিন আহমেদ। ৩৫ রানে তিন উইকেটে হারিয়ে লাঞ্চে যায় আফগানিস্তান।

লাঞ্চের পরও ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান। এবাদত-শরিফুলদের পেস সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছিল তারা। দলীয় রান পঞ্চাশ পার হতে আবারও উইকেট হারায় দলটি। এবার ফিরে যান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। শরিফুলের লেংথ ডেলিভারির বাউন্স সামাল দিতে পারেননি শহীদি। চতুর্থ স্টাম্পে করা বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে চলে যায় বল। লাফিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ৯ রানে ফিরে যান শহীদি। এরপর সফরকারীদের চতুর্থ উইকেট তুলে নিতেও বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ।

মেহেদী হাসান মিরাজের করা অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল টার্ন করে সরাসরি আঘাত হেনেছিল নাসির জামালের প্যাডে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই সঙ্গে সঙ্গে মিরাজের উৎযাপন শুরু হয়। আম্পায়ারও আঙুল তুলতে দেরি করেননি। অবশ্য এরপর রিভিউ নেন জামাল। রিপ্লেতে দেখা যায় বল পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ছিল জায়গা মতোই। তবে স্টাম্পে লাগত আলতোভাবে। তবুও আম্পায়ার্স কলের কারণে সাজঘরে ফিরতে হয় ৩৫ রান করা জামালকে। তাতে আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে তার ৬৫ রানের জুটি ভাঙে।

আফগানিস্তানের আরেকটি উইকেট ফেলেন ইবাদত। তার করা খাটো ল্যান্থের ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন আফসার জাজাই। কিন্তু ব্যাটে বলে তা না হলে ডিপ স্কয়ারে ফিল্ডিং করতে থাকা শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন। আফসারের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। এরপর আবারও আঘাত হানেন ইবাদত। এবার তার শিকার আমির হামজা। ইবাদতের মাথা বরাবর বল হামজার গ্লাভসে লেগে হাওয়ায় ভাসছিল। শর্ট লেগে থাকা মুমিনুল ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ক্যাচ নিয়েছেন। এরপর তাইজুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে যান ইয়ামিন আহমাদজাই।

৮ উইকেট হারিয়ে এখন চা বিরতিতে যায় আফগানিস্তান। বিরতির পর এসে দ্বিতীয় ওভারেই তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন নিজাত মাসুদ। শেষ উইকেট হিসেবে করিম জানাতকে স্টাম্পিংয়ে বিদায় করে ১৪৬ রানে সফরকারীদের গুটিয়ে দেন মিরাজ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...