বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪৬৫ বিলিয়ন বা ৪৬ হাজার ৫০ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতের উপর ভর করে ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে এই অর্থনীতিই এক ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার প্রকাশিত ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ’ সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরেও কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার ওপর আলোকপাত করে এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর ওয়েস্টিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে অপ্টিমিস্টিক আউটলুক (দৃঢ় আশাবাদ), গিগ ইকোনমি (ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খণ্ডকালীন কাজ), ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, তরুণ ও ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা (হাই ইকোনমিক রেজিলিয়্যান্স), ডিজিটাল মাধ্যমের বহুল ব্যবহার, সরকারি উদ্যোগ এবং একটি বৃহৎ, সু-সংগঠিত বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
‘ব্যবসায়িক কমিউনিটি, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত সম্প্রসারণে প্রবৃদ্ধিশীল ভোক্তা বাজার, সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে ক্রমবর্ধমান গিগ ইকোনোমি, সাথে ডিজিটাল রূপান্তর এবং সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করে চলেছে।’
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। মূল বক্তা ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের করপোরেট কমার্শিয়াল ব্যাংকিং-এর বাংলাদেশের প্রধান রিয়াজ এ চৌধুরী।