টিকিট কালোবাজারি চক্র সিন্ডিকেটকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, আমরা যদি একজন দালালকেও পাই, যার কারণে রেলের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধসহ র্যাব কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময়কালে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ নিয়মতান্ত্রিকভাবে ট্রেনে চলাচল করুন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ছিল— এবার যেন সম্মানিত যাত্রীগণ নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠুভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। সে লক্ষ্যে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য র্যাব বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী, যারা এই ঈদকে ঘিরে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল তাদের শতাধিকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দিইনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যারাই অপকর্মে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
দেশের বড় বড় স্টেশনগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, র্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। রেলওয়ে কর্তৃক ভালো সিদ্ধান্ত অ্যাপসে শতভাগ টিকিট বিক্রি। তবে এটার সুযোগও নেয় একশ্রেণির অসাধু চক্র। গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজকে যাত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সন্তুষ্ট। এজন্য ধন্যবাদ পেতে পারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। তারা বেশ সতর্ক ছিল।
যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিভিন্ন বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। র্যাবের সদস্যরাও কাজ করছেন। যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আপনার লাভ, আমার, দেশের লাভ, সবার লাভ। ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না, সময় নিন। কিন্তু যাত্রা নিরাপদ করুন। আপনাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে রেলওয়েসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমাদের বিভিন্ন রেল স্টেশনে গোয়েন্দা কার্যক্রমসহ চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন এজন্য একজন দালালকেও পাই তাহলে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য র্যাব নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, গোয়েন্দারা কাজ করছে, সাইবার জগতেও রয়েছে নজরদারি। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত তথ্য হচ্ছে— এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি। যাতে করে ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যায়।